কবিতা এবং জীবন একই জিনিসের দুটি ভিন্ন প্রকাশ: জীবন যেমন আমরা সাধারণত কল্পনা করি তাতে আমরা যা সাধারণত বাস্তবতা হিসেবে গ্রহণ করি তা ধারণ করে কিন্তু এই অসংলগ্ন ও উৎশৃংখল জীবনের দৃশ্য কোভিদ প্রতিভা বা পাঠকের কল্পনাকে সন্তুষ্ট করতে পারেন….. কবিতায় আমরা যাকে বাস্তবতা বলি তার সম্পূর্ণ পুনর্গঠন নেই: আমরা একটি নতুন জগতে প্রবেশ করেছি।
— জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ হলেন একজন ভারতীয় বাংলা ভাষার কবি, লেখক, ঔপন্যাসিক এবং প্রাবন্ধিক। বাঙালি কবি লেখক অর্থাৎ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের পর সবচেয়ে বেশি পরিচিত কবি হলেন জীবনানন্দ দাশ।
আপনি কি জীবনানন্দ দাশের জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? হলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।আমাদের এই পোস্টটিতে জীবনানন্দ দাশের জীবনী রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Table of Contents
“জীবনানন্দ দাশ জীবনী রচনা ” – “Jibanananda Das Biography In Bengali”
জীবনানন্দ দাশের সংক্ষিপ্ত জীবনী(Brief Biography of Jibanananda Das)
জন্ম | 17 ফেব্রুয়ারি 1899 |
মৃত্যু | 22 অক্টোবর 1954 |
জন্মস্থান | বরিশাল, বেঙ্গল প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ ভারত( বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যুর কারণ | ট্রাম দুর্ঘটনায় |
সমাধি স্থান | ভারত |
পেশা | কবি,ঔপন্যাসিক,গল্পকার, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, গীতিকার, সম্পাদক এবং অধ্যাপক |
কর্মজীবন | 1927 থেকে 1953 |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয়( 1899 – 1947) ভারতীয় (1947- 1954) |
জীবনানন্দ দাশ কে ছিলেন?(Who was Jeevananda Das?)
জীবনানন্দ দাশ হলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের পরে যার নামটি উচ্চারিত হয় তিনি হলেন আধুনিক চিত্ররুপময় বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ।
জীবনানন্দ দাশ কে “রূপসী বাংলার কবি” নামে অভিহিত করা হয় কারণ তার লেখা কবিতা গ্রন্থ তে বেশিরভাগ তিনি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ এবং রূপকথা পূরণের জগত জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়। জীবনানন্দ দাশের লিখিত কবিতায় পরা বাস্তবে দেখা মিলে। জীবনানন্দ দাসকে “নির্জনতম কবি” বলে আখ্যায়িত করেছেন বুদ্ধদেব বসু।
জীবনানন্দ দাশ তার কর্মজীবনের শুরুতে জনপ্রিয়তা না পেলেও বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে তার মৃত্যুর পর তিনি ভালই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন।
এক কথায় জীবনানন্দ দাশ হলেন বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম।
জন্ম ও শৈশব(Birth and childhood)
জীবনানন্দ দাশ ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির(বর্তমান বাংলাদেশ) অন্তর্গত বরিশাল শহরে 1899 সালে 18 ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায় যে জীবনানন্দ দাশের পূর্বপুরুষেরা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ) পরগনার কুমারভোগ এর গাওপারা নামক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন কিন্তু সেই জায়গাটি এখন আর নেই। এই জায়গাটি ছিল পদ্মায় যা বর্তমানে বিলীন হয়ে গেছে। এই জায়গাটি বর্তমানে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মধ্যে অবস্থিত।জীবনানন্দ দাশ এর পিতা হলেন “সত্যানন্দ দাশগুপ্ত” যিনি জন্মসূত্রে হিন্দু হলেও পরে ব্রাহ্মণ ধর্ম গ্রহণ করেন।
জীবনানন্দ দাশ হলেন পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত এর দ্বিতীয় পুত্র। জীবনানন্দ দাশ ছোটবেলা থেকেই ভোরে ঘুম থেকে উঠে পিতার কন্ঠে উপনিষদ আবৃত্তি এবং মায়ের কন্ঠে গান শুনতেন। ছোটবেলা থেকেই জীবনানন্দ দাশ হলেন একটু লাজুকের স্বভাবের। জীবনানন্দ দাশ ছোটবেলা থেকেই তার মামার সঙ্গে বহু জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই বাগান করা,খেলাধুলো, ভ্রমণ ও সাঁতারের অভ্যাস ছিল জীবনানন্দ দাশ এর।
জীবনানন্দ দাশের জন্মসূত্রে পদবী “ দাশগুপ্ত” হলেও গুপ্ত পদবিটি বর্জন করেন 30 এর দশকের শুরুতে এবং “দাশগুপ্ত” এর পরিবর্তে দাশ লিখতে শুরু করেন।
প্রকৃত নাম, ডাকনাম এছাড়াও অন্যান্য তথ্য(Real name, nickname also other information)
প্রকৃত নাম | জীবনানন্দ দাশগুপ্ত |
ডাক নাম | মিলু |
বাবা মা এবং আত্মীয়-স্বজন(Parents and relatives)
পিতার নাম | সত্যানন্দ দাশগুপ্ত |
মায়ের নাম | কুসুমকুমারী দাশ |
ভাগ্নী | অপর্ণা সেন (অভিনয়শিল্পী) |
খুড়তুতো বোন | সুপ্রিয়া দাশগুপ্ত |
জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত (1863-1942) হলেন পেশায় একজন শিক্ষক। যিনি বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক, প্রাবন্ধিক এবং বরিশাল ব্রাহ্মসমাজ এর সম্পাদক এছাড়াও ব্রাম্ভ সমাজের মুখপত্র ব্রাম্ভবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা- সম্পাদক।
জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম হল কুসুমকুমারী দাশ যিনি একজন গৃহিণী ছিলেন কিন্তু তিনি কবিতা লিখতে খুবই ভালোবাসতেন। কুসুমকুমারী দেবীর লিখিত একটি সুপরিচিত কবিতা যেটি আজও শিশু শ্রেণীর পাঠ্যতে পাওয়া যায় সেটি হল আদর্শ ছেলে(আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে,কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে)।
জীবনানন্দ দাশ ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে বাল্য শিক্ষার সূত্রপাত কারণ তার পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত অল্প বয়সে পুত্রদের ভর্তি করাতে চাননি।
শিক্ষাজীবন(Education)
পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত এর অল্প বয়সে স্কুলে ভর্তি করানোর বিরোধিতা থাকার কারণে অবশেষে আট বছর বয়সে 1908 সালে জানুয়ারি মাসে জীবনানন্দ দাশ ব্রজমোহন বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। পড়াশুনার পাশাপাশি ছবি আঁকার দিকেও ভালো ঝোঁক ছিল জীবনানন্দ দাশের।ব্রজমোহন বিদ্যালয়ে থাকাকালীন তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষার রচনার সূচনা করেন।
জীবনানন্দ দাশ ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন 1915 সালে ব্রজমোহন বিদ্যালয় থেকে। ঠিক তার দু’বছর পর জীবনানন্দ দাশ ব্রজ মোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বরিশাল ত্যাগ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
অবশেষে 1919 সালে ইংরেজিতে অনার্স সহ বিএ ডিগ্রী লাভ করেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে। এরপরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন 1921 সালে।
অবশেষে 1922 সালে কলকাতার সিটি কলেজের টিউটর হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন।
বিদ্যালয় | ব্রজমোহন বিদ্যালয় |
কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় | ব্রজমোহন কলেজ (ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা- 1917) কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ( ইংরেজিতে অনার্স -1919) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজিতে এম এ ডিগ্রী -1921) |
ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রী | ইংরেজিতে মাস্টার ডিগ্রী |
জীবনানন্দ দাশের অনুপ্রেরণা(Inspiration of Jibanananda Das)
জীবনানন্দ দাস কে সাহিত্যের প্রতি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল তার মায়ের সাহিত্য প্রতি ভাই। মায়ের সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট দেখে জীবনানন্দ দাশ আরো বেশি ভাবে সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুভূতি জেগে ওঠে।
কর্মজীবন(Career)
জীবনানন্দ দাশের কর্মজীবনের সূচনা ও সমাপ্তি ঘটে অধ্যাপনার কাজের মাধ্যমে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার পর তিনি আইন পড়া শুরু করেন। এই আইন পড়া চলতে থাকাকালীন কলকাতা ব্রাহ্মসমাজ পরিচালিত সিটি কলেজে টিউটর হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন 1922 সালে। এই ভাবে কয়েক বছর চলতে থাকে না। এরই মাঝে সরস্বতী পূজা কে কেন্দ্র করে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকের সাথে গোলযোগ শুরু হয় ফলস্বরূপ 1928 সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ জীবনানন্দ দাশকে কলেজ থেকে ছাঁটাই করে দেয়।
জীবনানন্দ দাশের কর্মজীবন আদৌ মসৃণ ছিল না। একটি স্থায়ী চাকরি তথা সুস্থির জীবিকার অভাব তাকে আমৃত্যু কষ্ট দিয়েছে। জীবনানন্দ দাশ অধ্যাপনা করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সেই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি হল –
- সিটি কলেজ, কলকাতা (1922-1928)
- বাগেরহাট কলেজ (খুলনা 1929)
- রাম জোশ কলেজ (দিল্লি 1930-1931)
- ব্রজমোহন কলেজ (বরিশাল 1935-1948)
- খড়্গপুর কলেজ (1951-1952)
- হাওড়া গার্লস কলেজ (কলকাতা 1953-1954)
একটি চাকরির জন্য হন্যে হয়ে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। সংসারও চলতো অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে। স্ত্রী লাবণ্য দাস কূলে শিক্ষকতা করে সংসারের অভাব-অনটন কিছুটা পুষিয়েছিলেন।
জীবনানন্দ দাশ তার বেকার জীবনে দীর্ঘ দুই দফা ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন এছাড়াও গৃহ শিক্ষকতা করে সংসারও চালিয়েছেন। হবেই দারিদ্র এবং অনটন ছিল তার কর্মজীবনের এবং সাংসারিক জীবনের ছায়াসঙ্গী।
জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ(Jibanananda Das first book of poetry)
জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ সমূহের প্রকাশকাল সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা যায়নি কারণ তার কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের একাধিক পরিবর্তিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল।
জীবনানন্দ দাশের লিখিত কাব্যগ্রন্থ গুলি হল(Poems written by Jibanananda Das)
1927 | ঝরা পালক |
1936 | ধূসর পান্ডুলিপি |
1942 | বনলতা সেন |
1948 | সাতটি তারার তিমি |
1954 | জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়) |
1957 | রূপসী বাংলা (জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পরবর্তী প্রকাশিত গ্রন্থ) |
1961 | বেলা অবেলা কালবেলা |
জীবনানন্দ দাশের রচিত প্রবন্ধ গুলি হল(Articles written by Jibanananda Das)
জীবনানন্দ দাশ তার রচিত প্রথম প্রবন্ধটি হল কবিতার কথা।
এই প্রবন্ধের শুরু এইভাবে _
“ সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি: কবি- কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতর চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সারোবোত্যা রয়েছে এবং তাদের পশ্চাতে অনেক বিগত শতাব্দী ধরে এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতের নব নব কাব্য বিকিরণ তাদের সাহায্য করেছে। কিন্তু সকলকে সাহায্য করতে পারে না: যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও কল্পনার ভিতরে অভিজ্ঞতা ও চিন্তার সার্বত্তা রয়েছে তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হয়: নানারকম চরাচরে সম্পর্কে এসে তারা কবিতার সৃষ্টি করবার অবসর পায়”
এছাড়াও জীবনানন্দ দাশের রচিত প্রবন্ধ গুলি শিরোনাম হল –
- কবিতার কথা
- রবীন্দ্রনাথ ও আধুনিক বাংলা কবিতা
- মাত্রা চেতনা
- কবিতার আত্মা ও শরীর
- সত্য বিশ্বাস ও কবিতা
- কবিতার আলোচনা
- আধুনিক কবিতা
- বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
- পৃথিবী ও সময়
- অর্থনৈতিক দিক
- শিক্ষা ও ইংরেজি
- শিক্ষা দিক্ষা শিক্ষকতা ইত্যাদি
জীবনানন্দ দাশের লিখিত কবিতা সংকলন গুলি হল(A collection of poems written by Jibanananda Das) –
- সুদর্শনা (1973 সালে)
- আলো পৃথিবী (1981 সালে)
- মনোবিহঙ্গম
- হে প্রেম
- তোমারে ভেবে ভেবে (1998 সালে)
- অপ্রকাশিত একান্ন (1999 সালে)
- আবছায়া (2004 সালে)
জীবনানন্দ দাশের লিখিত গল্পগ্রন্থ এবং উপন্যাস (Stories and novels written by Jibanananda Das)
জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর অসংখ্য গল্প ও উপন্যাস আবিষ্কৃত হতে শুরু করে।
জীবনানন্দ দাশের লিখিত 14 টি উপন্যাস হলো –
- মাল্যবান 1973 সালে
- সুতীর্থ 1977 সালে
- চারজন 2004 সালে ইত্যাদি
জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যকৃতি (Literary works of Jibanananda Das)
জীবনানন্দ দাশ হলেন আধুনিক কবিতার ক্ষেত্রে এক স্বতন্ত্র কবি। এক কথায় তিনি ছিলেন রোমান্টিক কবি।জীবনানন্দ দাশ রূপময় প্রকৃতির প্রতি প্রচন্ড আকৃষ্ট ছিলেন বাল্য বয়স থেকেই।
জীবনানন্দ দাশের লিখিত –
- ভোরের নির্মল
- আকাশ
- শিশির ভেজা ঘাস
- নদীর চরের চিল – ডাকা বিষন্ন দুপুর
এই সমস্ত সাহিত্য গুলির মাধ্যমে প্রকৃতির সব বর্ণ -বৈচিত্র্যময় রূপ গুলিকে তুলে ধরেছেন।
এই রূপময় কোভিদ কণ্ঠে আমরা শুনতে পেয়েছিলাম –
“বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি ,তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর”
স্বীকৃতি ও সমালোচনা(Recognition and criticism)
জীবনানন্দ দাশ তার জীবন দশায় অসাধারণ কবি হিসেবে পরিচিতি থাকলেও তিনি তেমন খ্যাতি অর্জন করে উঠতে পারেননি। এর জন্য প্রধানত তার প্রচার বিমুখওতাও দায়ী বলে মনে করা হয়। জীবন দশায় ভালো খ্যাতি অর্জন করতে না পারলেও জীবনানন্দ দাশ তার মৃত্যুর পর বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতার পথিকৃৎদের মধ্যে একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
বৈবাহিক অবস্থা(marital status)
1930 সালে 9 মে জীবনানন্দ দাশ, রোহিণী কুমার গুপ্তের কন্যা লাবণ্য গুপ্তকে ঢাকার ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন. এদের একটি কন্যা এবং একটি পুত্র রয়েছে।
বৈবাহিক অবস্থা | বিবাহিত |
স্ত্রীর নাম | লাবণ্য গুপ্ত |
পুত্র | সমরানন্দ দাশ |
কন্যা | মঞ্জুশ্রী দাস |
পুরস্কার ও স্বীকৃতি (Awards and recognition)
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন আধুনিক বাংলার একজন বিশিষ্ট কবি। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান সর্বাধিক। তিনি সাহিত্য রচনা জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
এছাড়াও জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা 1955 সালে ফেব্রুয়ারি মাসের সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার লাভ করেন।
জীবনানন্দ দাশ কে নিয়ে লেখা বই সমূহ (Books written about Jibanananda Das)
- অনন্য জীবনানন্দ – ক্লিনটন বি সিলি
- মানুষ জীবনানন্দ – লাবণ্য দাস
- একজন কমলালেবু – সাহা দু জামান
- জীবনানন্দ – সঞ্জয় ভট্টাচার্য
- জীবনানন্দ ও তার কাল – হরি শংকর জলদাস
- কবি জীবনানন্দ দাশ – সঞ্জয় ভট্টাচার্য
- একজন নির্জনতম – রিয়াজ ফাহমি ইত্যাদি
মৃত্যু (death)
জীবনানন্দ দাশ দক্ষিণ কলকাতায় একটি ড্রাম দুর্ঘটনায় 1954 সালে 14 অক্টোবর আহত হন এবং 22 অক্টোবর দেহ ত্যাগ করেন।
“জীবনানন্দ দাশ জীবনী রচনা ” – “Jibanananda Das Biography In Bengali” – FAQ
Q-1.জীবনানন্দ দাশের জন্ম তারিখ কবে?(Jibanananda das birth date when?)
Ans.জীবনানন্দ দাশের জন্ম করেন 17 ফেব্রুয়ারি 1899।
Q-2.জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
Ans. জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম হলো ঝোরা পালক।
Q-3. জীবনানন্দ দাশ কত সালে মারা যান?
Ans.জীবনানন্দ দাশ মারা যায় 1922 সালে।
Q-4.জীবনানন্দ দাশ কি কি পুরস্কার পেয়েছিলেন?
Ans. জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্র পুরস্কার এবং সাহিত্য একাদেমী পুরস্কার পেয়েছিলেন।
Q-5.জীবনানন্দ দাশ কত সালে রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছিলেন?
Ans.জীবনানন্দ দাশ 1952 সালে রবীন্দ্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।
Q-6.জীবনানন্দ দাশের স্ত্রীর নাম কি?
Ans. জীবনানন্দ দাশের স্ত্রীর নাম হলো লাবণ্য গুপ্ত।
“জীবনানন্দ দাশ জীবনী রচনা ” – “Jibanananda Das Biography In Bengali”
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এই পোস্টটি “জীবনানন্দ দাশ জীবনী রচনা ” – “Jibanananda Das Biography In Bengali” পড়ার জন্য।এই পোস্টটি “জীবনানন্দ দাশ জীবনী রচনা ” – “Jibanananda Das Biography In Bengali” কেমন লাগলো তা কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আশা করি পোস্টটি আপনাদের কে শাস্তি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে সাহায্য করেছে।আমরা এই সমস্ত তথ্যগুলি অনেক রকম ভাবে ভালোভাবে অনুসন্ধান করে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি।যদি কোনো তথ্য ভুল মনে হয়ে থাকে তাহলে মন্তব্য ফর্মটি পূরণ করে আমাদেরকে শেয়ার করতে পারেন।এরকম আরো মানুষের জীবনী সম্পর্কে জানতে আমাদের এই সাইটটিকে bongbio.com ফলো করুন।