(Manik)পায়ে লেগে GPA- 5 পাওয়া মানিকের গল্প।(Handicapped Manik Biography full from in Bengali)

কে এই মানিক? মানিক এর জীবনী,মানিকের গল্প,সফলতার গল্প(Who is Manik, Manik’s biography, success story and more information)

মানিকের ছোট থেকে দু হাত না থাকার জন্য পা দিয়েই লেখেন।আপনি যদি এই মানিকের জীবন সংগ্রামের সম্পূর্ণ গল্প জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুন।আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে প্রতিবন্ধী এই মানিকের জীবন সংগ্রামের সম্পূর্ণ দিকটি তুলে ধরেছি।

কে এই মানিক?(Who is this Manik?)

বাংলাদেশের কুড়িয়া গ্রামের এক সাধারণ পরিবার জন্মগ্রহণ করা একজন প্রতিবন্ধী ছেলে।ছোটবেলা থেকেই মানিক এর দুই হাত নেই। তাই সমস্ত কাজ করার জন্য তার দুই পা হল ভরসা।ছোটবেলা থেকেই মানিক পড়াশোনাতে খুবই আগ্রহী।তার পড়াশোনার সমস্ত কিছু তিনি পা দিয়েই করেন এবং কি তার জীবন সংগ্রামের সঙ্গী হলো এই দুই পা।

মানিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা(Educational Qualification of Manik)

মানিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি জানেন খুবই কষ্টের একজন মানুষ যার হাত নেই শুধু মাত্র মনোবল এ পা দিয়ে লেখে সাফল্য খুব সহজ ছিলো নাহ। আমরা তাই মানিক এর এই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আরো তথ্য সম্বন্ধে জানবো।
ছোটবেলা থেকেই মানিক এর পড়াশোনা এর প্রতি প্রকান্ড ইচ্ছে।তার দুই হাত না থাকার জন্য লিখতে খুবই অসুবিধা হতো ফলে তার মা তাকে সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে পা দিয়ে লেখা শেখাতেন।ছোটো থেকেই পড়াশোনা তে মানিক এর রেজাল্ট খুবই ভালো।
ছোট থেকেই তিনি পড়াশোনার জন্য অনেক বৃত্তি লাভ করেছেন।এছাড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষায় ব্লকের মধ্যে ফাস্ট হন মানিক
ভাবতেও অবাক লাগে এরকম প্রতিবন্ধী মানুষ হয়ে এতো দূর আগানো। এতে মানিক এর মতো আরো প্রতিবন্ধী এটি দেখে অনুপ্রেরণা পাবে।

এছাড়াও মানিক জানিয়েছে যে সাইন্সের সমস্ত সাবজেক্ট গুলো তার পড়তে খুবই ভালো লাগে।

জীবনের লক্ষ্য(Goals)

মানিক জানিয়েছে যে ছোটবেলা থেকেই তার কম্পিউটারে প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।

তার জীবনে কম্পিউটার এর আগমনের গল্পটি খুবই মজার।

ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন মানিকের বাবা বলেছিল যদি ভাল রেজাল্ট করে তাহলে তাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দেবেন। সেই অনুযায়ী মানিক ক্লাস 5 এ ভালো রেজাল্ট করেন এবং বৃত্তি পান। ফলে তার বাবা কথা অনুযায়ী একটি ল্যাপটপ কিনে দেন।

ছোট থেকেই ল্যাপটপ পাওয়ার জন্য মানিক ল্যাপটপের অনেক কাজ তিনি জানেন।তিনি ল্যাপটপে টাইপিং খুব ই ভালো পারেন। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং T শার্ট ডিজাইন খুব সুন্দভাবে করেন।

জীবনের লক্ষ্য হলো সে একজন একটি ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবেন।

বাবার বক্তব্য(Father’s statement)

মানিক হলেন তার বড় ছেলে ছোট থেকেই মানিকের পড়াশোনার প্রতি প্রকাণ্ড আগ্রহের কথা তার বাবার মুখ থেকে জানা যায়।এছাড়াও তিনি জানান যে মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে তার মা তাকে পায়ে লেখা শিখিয়েছেন।এছাড়াও ছোটবেলা থেকে তার ওপরে ঠোঁট কাটা ছিল সেটি অপারেশন এর দ্বারা ঠিক করিয়েছিলেন।
মানিকের ওপরের ঠোঁটে অপারেশন দ্বারা ঠিক করলেও পা টি ঠিক করতে পারেননি।কারণ তার দুটি পা সমান নয় 6 ইঞ্চি মতো ছোটো একটি পা অন্যের তুলনায়। বিভিন্ন ডক্টর দেখিয়েছেন কিন্তু কেও সঠিক সুরাহা দিতে পারেননি।

আরেকটি বেদনামূলক কথা মানিকের বাবার মুখ দিয়ে শোনা যায় সেটি হল-

“যে তাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন পাড়াপড়শি বলেছিল যে পড়াশোনা করতে পারবে কি পারবেনা এই সমস্ত নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্গ মুলক কথাবার্তা কিন্তু মানিক এর বাবা মা সেটি শোনেননি”

মায়ের বক্তব্য(Mother’s statement)

মানিকের মা জানিয়েছেন যে মানিক এর প্রথমে এই অবস্থা দেখে ওনারা অনেক ভেঙ্গে পড়েছিলেন।কষ্টের সহিত মানিকের মা জানান যে মানিকের এই অবস্থার জন্য এবং মানিক এর অপারশন এর সময় তাদের রেলেটিভস এবং সামাজিক মানুষ জন কাওকে পাশে পাননি।গর্বের সহিত মানিকের মা জানান যে আজকে মানিক কে দেখে মানিক এর মতো অনেক ছেলে নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা পাবে।

মানিকের বাবা ও মায়ের দুজনেরই ইচ্ছা যে মানিক বড় হয়ে একটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হোক এবং তাদের মুখ উজ্জ্বল করুক।

মানিক এর বক্তব্য(Manik’s statement)

মানিক জানান যে তাঁর এই অবস্থার জন্য প্রথমের দিকে তাকে বিভিন্ন অবহেলা শিকার হতে হয়েছিল।তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন রকম কটু কথা শুনে ছিলেন।প্রথমের দিকে মানিক ভেঙে পড়লেও তিনি হাল ছেড়ে দেননি।

উপসংহার(Conclusion)

আশা করি এই আর্টিকেলটিতে”মানিকের গল্প” মানিকের যে জীবনের সংগ্রাম এর গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে।আশাকরি গল্পটি পড়ে মানিকের মতো অনেক প্রতিবন্ধী জীবনে এক নতুন আশার আলো দেখতে পাবে।যদি এই আর্টিকেলের কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকে তাহলে মন্তব্য ফর্মটি ফিলাপ করে আমাদেরকে শেয়ার করতে পারেন।

FAQ

Q-1.মানিকের কি দুটি পা সুস্থ?

Ans- না, মানিকের দুটি পা সমান নয়।একটি পা অপর পায়ে তুলনায় 6 ইঞ্চি ছোট।

Q-2.মানিক কোন ক্লাস থেকে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন

Ans – ক্লাস 5 থেকে।ল্যাপটপের পাওয়ার গল্পটি খুব মজার।

মন্তব্য করুন